নেপালে নিহতের সংখ্যা ২৩০০ ছাড়িয়েছে (ভিডিও)
উপমহাদেশজুড়ে শনিবার দুপুরে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নেপালে নিহতের সংখ্যা ২৩০০ ছাড়িয়েছে।
সর্বশেষ খবরে টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রাণহানির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূকম্পনের আঘাতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির রাজধানী। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে কাঠমান্ডু। খবর বিসিসি, আলজাজিরা, টাইমস অব ইন্ডিয়া, এডিটিভি ও রেডিও তেহরানের।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১২টা ১১ মিনিটে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর অদূরে রিখটার স্কেলে ৭.৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এর তথ্য অনুযায়ী প্রথম ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী কাঠমাণ্ডুর অদূরে পোখরার কাছে লামজুং।
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, দেশটিতে দুদফা ভূকম্পন অনুভূত হয়। প্রথমটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৯ এবং দ্বিতীয়টি ছিল ৬ দশমিক ৬ মাত্রার। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ৩১ কিলোমিটার গভীরে।
নেপালের সংবদ মাধ্যমগুলো বলছে, ভূমিকম্পে দেশটির অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে জনপদ। এছাড়া ধ্বংসস্তুপের নিচে অনেকে আটকা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নেপালের বিভিন্ন জায়গায় বিধ্বংসী চেহারা দেখা যাচ্ছে। জনজীবন বিপর্যস্ত। কম্পন অনুভূত হতেই বাইরে বেরিয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। তবে তার আগেই ভেঙে পড়ে বহুতল। ফাটল ধরে রাস্তায়। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।
ভূমিকম্পে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর বিখ্যাত দারাহারা বা ভীমসেন টাওয়ার ধ্বংস হয়ে গেছে। ১৮৩২ সালে নির্মিত নয়তলা এ টাওয়ারটির উচ্চতা ছিল ৬১.৮৮ মিটার। বিধ্বস্ত টাওয়ারে অন্তত ৫০ জন আটকা পড়েছেন।
নেপালের ভূমিকম্পে এভারেস্ট পর্বতে ধস নামার খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পের পর কাঠমন্ডু বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দশরথ স্টেডিয়ামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে ১৯৩৪ সাল ৮.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে নেপালে সাড়ে আট হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল ।
প্রতিক্ষণ/এডি/আরিফ